logo

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘মাদকবিরোধী পরামর্শ’ শীর্ষক সভা

Published    1 year ago

Image

শুরুতে কৌতূহল থেকে অনেকে মাদকে আসক্ত হন। অনেকে মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মাদক নিতে শুরু করেন। এটা ঠিক নয়। মানুষের জীবনে দুঃখ, কষ্ট, প্রতিবন্ধকতা থাকবেই। এগুলো স্বাভাবিক ঘটনা। তাই বলে দুঃখকে ভোলার জন্য মাদক নিতে হবে, এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। জীবন আনন্দময় রাখতে মাদক থেকে দূরে থাকা উচিত।

প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত মাদকবিরোধী আন্দোলনের পরামর্শ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রোববার দুপুর ১২টায় সিলেট নগরের শামীমাবাদ এলাকায় সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে মাদক ও মানসিক রোগ নিয়ে চিকিৎসকদের নানা প্রশ্ন করেন।

সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শহীদুল্লাহ তালুকদার বলেন, মানসিক শক্তি বা মনোবল অর্জন করতে পারলেই মাদক ছাড়া সম্ভব। একবার মাদকাসক্ত হলে তা থেকে বেরিয়ে আসা একটু কঠিন। তাই চলাফেরার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো বন্ধু নির্বাচন করতে হবে।

উদ্বোধনী পর্বের পর শিক্ষার্থীদের মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করার পাশাপাশি মানসিক-সমস্যাজনিত নানা বিষয়ে পরামর্শ দেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের প্রধান আর কে এস রয়েল ও চিকিৎসা কর্মকর্তা রেজওয়ানা হাবীবা এবং নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের প্রধান মো. আব্দুল্লাহ ছায়ীদ।

চিকিৎসক আর কে এস রয়েল বলেন, ‘মাদককে না’ বলার ক্ষমতা নিজের মধ্যে পুষতে হবে। না বলার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যাঁরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন, তাঁদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ধীরে ধীরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কোনোভাবেই নেশার কাছাকাছি যাওয়া যাবে না। নিজে সচেতন থাকার পাশাপাশি অন্যকেও এ বিষয়ে সচেতন করা প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব।

চিকিৎসা কর্মকর্তা রেজওয়ানা হাবীবা বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী প্রেমে পড়তেই পারেন। যেকোনো কারণে বিচ্ছেদও আসতে পারে। কিন্তু এর ফলে মাদকে জড়াতে হবে, এটা একেবারেই ঠিক নয়।’

চিকিৎসক মো. আব্দুল্লাহ ছায়ীদ বলেন, মাদক থেকে দূরে থাকতে হলে মনোবল শক্ত থাকতে হবে। মাদক মানুষের চিন্তা, আবেগ, অনুভূতি ও আচরণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সমাপনী পর্বে শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে বক্তব্য দেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ নিতাই চন্দ ও ডিন আবুল ফতেহ ফাত্তাহ। প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। সবশেষে সমাপনী বক্তব্য দেন প্রথম আলো সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমনকুমার দাশ। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ‘চলতি ঘটনা’, ‘কিশোর আলো’ ও ‘বিজ্ঞান চিন্তা’ সাময়িকী উপহার হিসাবে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে আইন অনুষদের ডিন মাহমুদুল হাসান খান, ইংরেজি বিভাগের প্রধান স্বাতী রানী দেবনাথ ও সহকারী অধ্যাপক প্রণবকান্তি দেব, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান এম এ জি আসিফ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান নাঈমা মাসুদ উল্লেখযোগ্য।

source: https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/kagrhr7t1y